সর্বশেষ আপডেট : ৪৮ মিনিট ৩২ সেকেন্ড আগে
মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

কমলগঞ্জে শমশেরনগরে রেলপথ ঘেষে জমে উঠে অবৈধ পশুর হাট, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার গুরুতআবপূর্ণ জনপদ শমশেরনগর বাজারে রেলপথ ঘেষে বসে পশুর হাট। ফি বছর লাখ লাখ টাকা বাজার ইজারা হলেও পশুর হাটের নির্দিষ্ট কোন জায়গা নেই। প্রতি রোববার ও বুধবার অবৈধভাবে রেলপথ ঘেষে পশুর হাট বসলেও দেখার যেন কেউ নেই। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আপত্তি সত্ত্বেও নিয়মিত বসছে পশুর হাট। ফলে যেকোন মুহুর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনারও আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আপত্তি উপেক্ষা করে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর রেলস্টেশনের দক্ষিণ পাশে লাল গোদামের সাথেই পশুর হাট পরিচালনা করছেন বাজার ইজারাদার। রেললাইনের সাথে রেলের লাইন দিয়ে বেড়া বসিয়ে অবৈধভাবে সপ্তাহে রোববার ও বুধবার পশুরহাট বসছে। স্টেশন এলাকার বাউন্ডারী ও সীমানা প্রাচীর না থাকায় বাজারে ক্রয় বিক্রয়ের জন্য নিয়ে পশু এদিক সেদিক ছুটাছুটি করছে। পশুর হাট বসানোর কারনে রেললাইনের পাথরও ছিটকে যাচ্ছে। এতে ট্রেন চলাচলেও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বাজার ইজারাদার কোনকিছু তোয়াক্কা না করেই নিজের ইচ্ছেমতো পশুরহাট পরিচালনা করছেন। রেললাইনের পাশে এই স্থান দিয়ে পথচারীসহ স্থানীয়দের যাতায়াতের রাস্তাও। পশুরহাট বসার কারনে যাতায়াতেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রেলপথের নিরাপত্তার স্বার্থে পশুর হাট না বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকাস্থ বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ কে গত বছরের ২৩ মে একটি চিটি প্রেরন করেন শ্রীমঙ্গলের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ)।

এবছর ৮৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মূল্যে এক বছরের জন্য শমশেরনগর পশুরহাটসহ বাজার ইজারা গ্রহণ করেন কয়েছ মিয়া। এরপরও পশুর হাটের নির্দিষ্ট কোন জায়গা না থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবাইকে ভোগান্তি পোহাত হচ্ছে।

বিক্রেতা রফিক মিয়া, মানিক মিয়া বলেন, রেললাইনের পাশে গরু-ছাগল নিয়ে আসা আসলেও ঝুঁকিপূর্ণ। যেহেতু বাজার ইজারা হচ্ছে এবং সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাচ্ছে সেহেতু পশুর হাটের নির্দিষ্ট ও নিরাপদ জায়গা বের করা প্রয়োজন। এখানে পশুর হাটের মতো কোন স্থান নেই। একদিকে রেললাইন অপরদিকে ময়লা-আবর্জনাস্থল।

শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন বলেন, ইজারাদারকে বার বার আপত্তি দেয়া সত্বেও জোরপূর্বক রেললাইনের পাশেই পশুরহাট বসানো হয়। এতে ঝুঁকি বেড়ে উঠছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে। চিঠি দিয়েও আপত্তি জানানো হয়েছে।

অভিযোগ বিষয়ে শমশেরনগর বাজার ইজারাদার কয়েছ মিয়া বলেন, এখানে পশুরহাট বসে, সেটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও জানেন। পশুরহাটের নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় এখানে দীর্ঘদিন ধরেই হাট বসছে। এতে কোন সমস্যা হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, বিষয়টি পুরোপুরি আমার জানা নেই। তবে রেললাইনের পাশে পশুরহাট বসানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: